খবরের শিরোনামঃ বিকল্প পন্থায় ফেসবুক ব্যবহার করা আইনের লঙ্ঘন : তারানা হালিম

খবরের তারিখঃ ২০১৫-১১-৩০

-নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারিভাবে বন্ধের পরও বিকল্প পন্থায় যারা ফেসবুক ব্যবহার করছেন তারা আইন লঙ্ঘন করছেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, বিকল্প পন্থায় খুব বেশি দিন ফেসবুক ব্যবহার করা যাবে না। এ ধরনের ব্যবহারকারীদের জেনে রাখা ভালো তাদের আইডি হ্যাক হতে পারে এবং এই সম্ভাবনা বেশি। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব বলেন। তারানা হালিম বলেন, বিকল্পপথে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা একটি স্পেসিফিক ক্যাপাসিটির ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করছেন, এটি তারা বেশিদিন করতে পারবেন না। কারণ এই ব্যান্ডইউডথের ক্যাপাসিটিটা কম। দ্বিতীয়ত, এর গতি অনেক কম। গতি যখন কম হয়, যে প্রক্রিয়ায় নাশকতাকারীরা সংগঠিত হয়ে নাশকতা কর্মকাণ্ড চালায় সেটি অত দ্রুত করা সম্ভব হয় না। গতি দ্রুত হলে ট্র্যাক করা যায় না, গতি কম হলে সহজেই ট্র্যাক করা যায়। ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ না করে ফেসবুক বন্ধ করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ না করে একশত ভাগ বন্ধ করা সম্ভব কি না, এটা আপনারাই খোঁজ নেন। আশা করি উত্তরটা দেবেন। পৃথিবীর কোনো দেশে, ইভেন যেখানে ফেসবুকের অ্যাডমিনও আছে, হান্ড্রেড পার্সেন্ট বন্ধ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমার ধারণা ইন্টারনেট সম্পূর্ণ শাটডাউন না করে ফেসবুক পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। সেটা আমরা করতে চাই না। আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করব না। প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তির মোকাবেলা করা হচ্ছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, কেউ যদি বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ ছাড়া একশ’ ভাগ এটি (ফেসবুক ব্যবহার) বন্ধ সম্ভব, আমি অনুরোধ করব একশ’ ভাগ কীভাবে সম্ভব আমাকে একটু জানিয়ে যান। তাহলে তিনি একজন অত্যন্ত স্বনামধন্য উদ্ভাবক হিসেবে পুরস্কারও পেতে পারেন। পৃথিবীর কোথাও ইন্টারনেট শাটডাউন ছাড়া ফেসবুক বন্ধ রাখার কথা কোনো প্রযুক্তিবিদ বলতে পারেননি। বেলজিয়ামের উদাহরণ দিয়ে তারানা হালিম বলেন, সে দেশের পাতাল রেলসহ অনেক ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হলেও সেখানে কোনো সমালোচনা হয়নি। বরং সবাই সহযোগিতা করেছেন। তাই আমাদের এই বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে ভেবে দেখতে হবে। তিনি বলেন, সরকার স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে এসব অ্যাপ বন্ধ করতে চায় না। জননিরাপত্তার জন্যই এসব বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদের সবার দায়িত্ব সহযোগিতা করা। গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুকসহ কয়েকটি যোগাযোগ অ্যাপ বন্ধ করার পর বিকল্প পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যাচ্ছে বাংলাদেশে। ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, ফেসবুককে চিঠি লিখেছি, তাদের বলছি তাদের একজন অ্যামডিন এখানে রাখুন, তাদের সঙ্গে চুক্তি করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কবে নাগাদ ফেসবুক খুলে দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব জনগণ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিধান করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন মনে করবে এখন নিরাপদ, তখন খুলে দেওয়া হবে। যখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মনে করবে, তখনই খুলে দেওয়া হবে। বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী জানান, বিকল্প পন্থায় ফেসবুক ব্যবহারকারীরা গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রয়েছেন। আমি বলব, বিকল্প পন্থায় যারা ব্যবহার করছেন তারা প্রত্যেকটা গোয়েন্দা সংস্থার মুখে আছেন। আমরা সব কয়টা ধরছি না, যেটা ধরার ওটাই ধরছি। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Source