-কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, হাইটেক পার্কে আগামী ১০ বছরে ৭০ হাজার দক্ষ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। দীর্ঘ ১৬ বছর পরে হলেও হাইটেক পার্কের মূল ভবনের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ওয়ানস্টপ সার্ভিস হাউজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। হাইটেক পার্কের আশপাশের গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য পার্কের অর্থায়নে সড়ক তৈরি করা হয়েছে। ফলে জনগণের চলাচলে সমস্যা হবে না। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের সেবা ভবন, ফার্স্ট মাল্টি টেনেন্ট ভবনের ভিত্তি প্রস্তর ও হাইটেক পার্কের আশেপাশের গ্রামবাসির চলাচলের জন্য পার্কের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পাকা রাস্তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৯ সালে বিনিয়োগ বোর্ডের ১২ তম সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাইটেক পার্কের জন্য ২৩২ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। তখনি কাজ শুরু করা হয়েছিল। বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম ডেটা সেন্টার হাইটেক পার্কের ৭/৮ একর জমির মধ্যে স্থাপন করা হবে। ২০ একর জমি রাখা হয়েছে রিচার্স এন্ড ডেভেলপ সেন্টারের জন্য।এছাড়া প্রথম পর্যায়ে ফাইভার এট হোম এবং মালয়েশিয়ার আহরিশ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানী ৪১ একরের মধ্যে প্রথম ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করল। আমরা আশা করছি, এক বছরের মধ্যেই ভবন তৈরীর কাজ শেষ করতে পারব। হয়ত ২০১৭ সালের মধ্যে ইন্ডাজষ্ট্রিজের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে পারব। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির লাইন, সড়কবাতি, আভ্যন্তরীণ রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশে হাইটেক পার্ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ টেকনোসিটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মঈনুল হক সিদ্দিকী, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম আলম, সাপোর্ট টু ডেভেলপমেন্ট অফ কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের পরিচালক এ.এন.এম সফিকুল ইসলাম, কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ সানোয়ার হোসেন, কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) সাইফুল কবির, কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মোঃ মজিবুর রহমানসহ হাইটেক পার্কের বিভিন্ন কর্মকর্তা প্রমূখ।
Source