-
তথ্যপ্রযুক্তির আউটসোর্সিং থেকে বছরে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে জিটেক্স প্রযুক্তি সপ্তাহ শুরুর প্রাক্কালে এসব তথ্য জানানো হলো। খবর খালিজ টাইমসের।
দুবাইয়ে গতকাল রোববার থেকে শুরু হয়েছে জিটেক্স প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০১৫। চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত।
দুবাইভিত্তিক পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় সবকিছুকে ডিজিটালে রূপান্তরের বিষয়টিকে এগিয়ে নিচ্ছে। দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠা করছে হাইটেক পার্ক।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) দেওয়া তথ্যমতে, সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা (আইটিইএস) রপ্তানির মাধ্যমে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের আয় ছিল ৪০ কোটি মার্কিন ডলার। আগামী তিন বছরে তা ২৫০ শতাংশ বেড়ে ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৭০ লাখ। সে হিসাবে দেশের ৭৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীর হাতেই মুঠোফোন রয়েছে। দেশব্যাপী মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কারণে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ কোটি ছাড়িয়েছে। সে হিসাবে এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। আর দেশব্যাপী শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষার জন্য দুই হাজার কলেজ থাকায় প্রতিবছর বহু শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে আইটি খাতে চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন। বর্তমানে দেশে আড়াই লাখের বেশি আইটি পেশাজীবী রয়েছেন। ২০১৮ সাল নাগাদ সংখ্যাটা ১০ লাখের বেশি করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। এ সময় নাগাদ দেশে প্রতিবছর এক কোটি করে ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ানোরও পরিকল্পনা রয়েছে।
আইটিইএস খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০ হাজারের বেশি অত্যন্ত দক্ষ লোক নিয়োজিত রয়েছেন জানিয়ে খালিজ টাইমস লিখেছে, বাংলাদেশ এখন অনলাইনে ফ্রিল্যান্স কাজের একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গ্লোবাল সার্ভিসেস লোকেশন ইনডেক্সের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, ওডেক্সের মতো অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ এ অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মাত্র তিন বছরে ওডেক্সে কাজের ক্ষেত্রে ৩ নম্বর দেশে পরিণত হয়েছে।
Source