খবরের শিরোনামঃ আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশও একদিন ভারতের পর্যায়ে যাবে — সজীব ওয়াজেদ জয়

খবরের তারিখঃ ২০১৫-১০-১৯

-নিজস্ব প্রতিবেদক
আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জনতা টাওয়ারে অবস্থিত সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পার্কটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উদ্বোধনের সময় ভারত আউটসোর্সিংয়ে এখন অনেক এগিয়েছে বলে মন্তব্য করেন জয়। বাংলাদেশও একদিন এ পর্যায়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ‘অপারেশনাল লঞ্চিং অব দ্য ফার্স্ট সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, হাইটেক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হোসনে আরা বেগম প্রমুখ। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে মূলত স্টার্ট আপ আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো থাকবে। পার্কে চারটি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা দেয়া হয়। আগামীতে এর মধ্য থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান বেরিয়ে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন জয়। তিনি আরো বলেন, ‘আমি যখন ভারতের বেঙ্গালুরুতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ছাত্র ছিলাম, তখন সেখানে স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করে। আজ ভারত আউটসোর্সিংয়ে অন্যতম বড় দেশ। বাংলাদেশও একদিন সে পর্যায়ে যাবে।’ একই অনুষ্ঠানে ‘কানেকটিং স্টার্ট আপস বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও হাইটেক কর্তৃপক্ষ এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এর মাধ্যমে ১০ জন সেরা উদ্যোক্তাকে এক বছরের জন্য বিনামূল্যে সফটওয়্যার পার্কে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে। জনতা টাওয়ার সরকারি উদ্যোগে দেশের প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। এর আগে বেসরকারি পর্যায়ে অ্যাকসেঞ্চার, অগমেডিক্স ও ডিজিকন নামের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সফটওয়্যার পার্ক হিসেবে ঘোষণা দেয় বিএইচটিপিএ। ২০১০ সালের ৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় জনতা টাওয়ারকে দেশের প্রথম সফটওয়্যার পার্ক হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১২তলা জনতা টাওয়ারের প্রতিটি তলায় ৬ হাজার বর্গফুট জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে ব্যবহারযোগ্য হিসেবে বরাদ্দের জন্য জায়গা রয়েছে প্রায় ৫ হাজার বর্গফুট। তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা খাতে ন্যূনতম তিন বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে— এমন উদ্যোক্তাদের আবেদনের যোগ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে বিএইচটিপিএর অধীনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাইটেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে গাজীপুরে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক ও যশোরে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আর মহাখালী আইটি ভিলেজ, বরেন্দ্র সিলিকন সিটি রাজশাহী, ইলেকট্রনিক সিটি সিলেট, চন্দ্রদীপ ক্লাউড চর, চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

Source