-স্টাফ রিপোর্টার :
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খাদ্যের মতো বিভিন্ন খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত রয়েছে। ‘আমরা সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ডিজিটাইজড করেছি। দেশের প্রত্যেক ইউনিয়নে ডিজিটাল কেন্দ্র স্থাপন, বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়ার ক্লাসরুম চালু এবং পাঠ্যপুস্তক ডিজিটাইজড করা হয়েছে। এ সবই হচ্ছে দেশের মানুষকে সেবাদানে আমাদের প্রয়াসের অংশ।’ গতকাল (রোববার) ‘সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে (বিসিসি) এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম ও আইসিটি সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘যখন আমি ভারতের ব্যাঙ্গালোরে ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য লেখাপড়া করছিলাম, সে সময় সেখানে আইটি শিল্প প্রতিষ্ঠার যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে স্থানীয় কিছু উদ্যোক্তার পাশাপাশি বিদেশি কয়েকটি কোম্পানিও এগিয়ে আসে। ওই ছোট পরিসরের যাত্রা থেকে ব্যাঙ্গালোরে এখন আউট সোর্সিংয়ের সর্ববৃহৎ নগরীতে পরিণত হয়েছে।’ ‘ওই সময় থেকে আমার বাংলাদেশে এ ধরনের কিছু করার স্বপ্ন ছিল। যদি তারা এটি করতে পারে, তবে আমরা তা পারব না কেন? এটি আমার জন্য খুবই আনন্দের সময় যে, আজ আমি এখানে বাংলাদেশে প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন করছি। তার নিজের জীবন সংগ্রাম সম্পর্কে জয় বলেন, সর্বপ্রথমে আমি সিলিকন ভ্যালিতে কাজ শুরু করি। কিন্তু প্রথম যাত্রায় ব্যর্থ হই। কিন্তু আমি এতে থেমে যাইনি। আবারো শুরু করি এবং এগিয়ে যাই। তিনি বলেন, আমি অলস বসে থাকতে পারি না। আমি দু’টি কোম্পানি করেছি। একটি বেশ ভালো চলছে এবং অপরটি খুবই ভালো অবস্থায় রয়েছে। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এ দেশের যুবসমাজ এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে। তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ার আইসিটি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। এখানেই সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা এ পার্কে প্রথম ৪ কোম্পানির কাছে তাদের জন্য স্থান বরাদ্দের স্বত্ব তুলে দেন। তিনি অনুষ্ঠানে ‘কানেকটিং স্টার্ট আপস বাংলাদেশ’ নামে এক প্রতিযোগিতাও চালু করেন।
Source