খবরের শিরোনামঃ ৯ মাসে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় ৭৭৯০ কোটি টাকা

খবরের তারিখঃ ২০১৫-১০-২০

-স্টাফ রিপোর্টার
চলতি বছর প্রথম নয় মাসে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন মুনাফা করেছে এক হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। এই সময় অপারেটরটির গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৪০ লাখ। এবং প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ৭ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৫ এর প্রথম নয় মাসে প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব আয় করেছে ৭ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা যা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। সেবা থেকে আয়কৃত রাজস্ব (ইন্টারকানেকশন বাদে) আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি ডিভাইস ও অন্যান্য খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে ৫ শতাংশ। এই সময়ে ডাটা থেকে আয়কৃত রাজস্ব ৬৭ শতাংশ এবং মূল্য সংযোজিত সেবা থেকে আয়কৃত রাজস্ব ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি প্রধানত সেবা রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা রেখেছে। তবে ২০১৫ এর ৩য় প্রান্তিকে ২০১৪ এর একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব বেড়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। বছরের প্রথম ৯ মাসে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৪০ লাখ। এর ফলে অপারেটরটির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৫৫ লাখ এবং সিম মার্কেট শেয়ার ৪২ দশমিক ১ শতাংশ। ইন্টারনেট ডাটা গ্রাহকের সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি বলেন, “২০১৫ সালের প্রথম কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতি আমরা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি। আমার দেখছি যে ধীরে ধীরে মোবাইল ফোন ব্যবহার বাড়ছে এবং ডাটা ব্যবহারেও উৎসাহব্যঞ্জক উন্নতি হচ্ছে। সহজ গ্রাহক কেন্দ্রিক উদ্যেগে আমাদের বিশেষ মনোযোগ এই গতিশীলতা আনতে সহায়তা করেছে।”গ্রামীণফোনের সিএফও দিলীপ পাল বলেন, প্রতিকূল ব্যবসায়িক ফলাফলের মধ্যেও আমরা লাভজনক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য পূরণে সঠিক পথে রয়েছি। বছরের বাকি সময়ও আমরা পরিচলন দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যেগ অব্যাহত রাখবো। গ্রামীণফোন বছরের প্রথম নয় মাসে উচ্চ ভয়েস ও ডাটা চাহিদা পূরণ এবং উন্নততর পণ্য ও সেবা চালু করার জন্য আইটি অবকাঠামো উন্নয়নসহ ৩জি স¤প্রসারণ, ২জি কাভারেজ সংহত করতে ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এছাড়াও দেশের বৃহত্তম করদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং লাইসেন্স ফি হিসেবে সরকারি কোষাগারে ৩ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা প্রদান করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্ব আয়ের ৪৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

Source