খবরের শিরোনামঃ শাহজালালে দশ কোটি টাকার ভিওআইপি সরঞ্জাম জব্দ

খবরের তারিখঃ ২০১৫-১০-২০

-যুগান্তর রিপোর্ট
হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১১৮ কার্টন ভর্তি ২.১ টন ভিওআইপি সরঞ্জাম জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এসব সরঞ্জামের মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। সোমবার বিমানবন্দরের এয়ারফ্লাইট ইউনিট থেকে এগুলো জব্দ করা হয়। বিকালে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কাকরাইল কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, পণ্যগুলো দীর্ঘদিন ধরে এয়ারফ্লাইট ইউনিটে পড়ে ছিল। সাধারণত কোনো পণ্য এয়ারফ্লাইট ইউনিটে আসার পর ২১ দিনের মধ্যে খালাস করতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই পণ্যগুলো খালাস করা হয়নি। কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ ঘোষণা দিয়ে এমএস সাদিয়া ট্রেডিং কর্পোরেশনের নামে ভিওআইপি সরঞ্জামগুলো আনা হয়। ড. মঈনুল খান বলেন, ভিওআইপি সরঞ্জাম আমদানি করা নিষিদ্ধ। এটা দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করে। এই পণ্যগুলো গত ১০ আগস্ট হংকং থেকে আনা হয়। সাদিয়া ট্রেডিংয়ের ঢাকার অফিস ২৮/বি টয়েনবি সার্কুলার রোডে। অথচ অনুসন্ধানে দেখা গেছে ওই ঠিকানায় এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। জব্দ করা ভিওআইপি সরঞ্জামের মধ্যে ৩২ ধরনের পণ্য ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, চোরাচালানের জন্য সরঞ্জামগুলো আনা হয়েছে। এর সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক কেজি সোনাসহ ৫ যাত্রী আটক : বিমানবন্দরে সোমবার এক কেজি সোনাসহ পাঁচ যাত্রীকে আটক করেছে ঢাকা কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ টিম। ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার শহীদুজ্জামান সরকার জানান, সিঙ্গাপুর থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের টিআর ২৬৫৬ ফ্লাইটে রাত পৌনে ৮টায় বিমানবন্দরে নামেন টাঙ্গাইলের ৫ যাত্রী। তারা হলেন- মো. জামাল, আজিজুল হক, কুলসুম বেগম, লাবলু মিয়া ও আকলিমা আক্তার। তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনের বাক্সে তল্লাশি করে ১০০ গ্রাম ওজনের ১০টি সোনার বার পাওয়া যায়। তাদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Source