-নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের মতো জনসংখ্যার দেশে ছয়টি সেলফোন অপারেটরের ব্যবসায়িক সক্ষমতা থাকার মতো অবস্থা নেই। একটি অপারেটর ভালো লাভ করছে। অন্য দু-একটি সামান্য লাভে আছে। আর বাকিগুলোর অবস্থা ভালো নয়। এসব প্রতিষ্ঠান হয় বন্ধ করে দিতে হবে, নয়তো অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সংস্থাটির বিদায়ী চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান ও অন্যান্য কমিশনাররা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তিন বছর দায়িত্ব পালন করা সুনীল কান্তি বোসের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। বিদায়ী চেয়ারম্যানের মেয়াদ পূর্তির আগে শেষ কার্যদিবসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সুনীল কান্তি বোসের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন প্রকৌশলী শাহজাহান মাহমুদ।
সুনীল কান্তি বোস বলেন, মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) চালু হলে কল ড্রপসহ অন্যান্য সমস্যা দূর হবে। এটি চালু হলে গ্রাহকরা সহজেই অপারেটর বদলের সুযোগ পাবে। এতে অপারেটরাও বাধ্য হয়ে সেবা উন্নত করবে। তিনি বলেন, এসব সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করা হয়েছে। অপারেটরদের নেটওয়ার্ক উন্নয়নে বিনিয়োগ করার কথা বলা হয়েছিল। তবে এসব সমস্যা শতভাগ সমাধান হয়ে যাবে এমনটি বলা যায় না।
গত তিন বছরের সাফল্য বা ব্যর্থতা প্রসঙ্গে সুনীল কান্তি বোস বলেন, ‘যা করতে পারিনি তাই ব্যর্থতা।’
বাজার যাচাই না করে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। লাইসেন্স নিলেও কয়েকটি আইআইজি প্রতিষ্ঠান এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
বিতর্কিত আইওএফ গঠন এবং এর ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতির প্রসঙ্গে বিটিআরসির বিদায়ী চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এখনো বহুল আলোচিত। তবে এ ব্যবস্থা এখনো স্থায়ী নয়। সরকারকেই এর সমাধান করতে হবে। এটি সমাধানের উপায় আছে।
আগামীতে বিটিআরসির ভূমিকা সম্পর্কে সুনীল কান্তি বোস বলেন, একটা সময় ছিল বিটিআরসি থেকে অনেক বিষয় সরকারকে জানানো হতো না। এখন সে পরিস্থিতি নেই। এছাড়া আগামীতে টেলিযোগাযোগ অধিদফতর (ডিওটি) সরকারকে পরামর্শ দেবে। তিনি বলেন, সরকারকেও বুঝতে হবে নিয়ন্ত্রণের কাজটি বিটিআরসির হাতেই থাকা উচিত। বিটিআরসি না হলে টেলিযোগাযোগ খাতের এত বিকাশ হতো না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যাতে আরো ক্ষমতা নিয়ে কাজ করে, তা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিটিআরসির বিদায়ী চেয়ারম্যান বলেন, আগামী বছরই ফোরজি প্রযুক্তির সেবা চালুর উদ্দেশ্যে তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়ার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
Source