-কাগজ প্রতিবেদক :
রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির বিদায়ী চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেছেন, টেলিটক যেভাবে চলছে, তা মেনে নেয়া যায় না। অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবীব খান, সচিব সরওয়ার আলমসহ কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালের মধ্যে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর-জি) মোবাইল সেবার তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) বরাদ্দের কাজ শুরু হবে। এ জন্য একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সুনীল কান্তি বোস বলেন, ফোর-জি এবং এলটিই (লং টার্ম এভিলিউশন) দ্রুত আসবে। ৭০০ মেগাহার্জ তরঙ্গ ও এক হাজার ৮০০ মেগাহার্জ তরঙ্গের ব্যবহারে প্রযুক্তি নিরপেক্ষ নীতিমালা হচ্ছে। এতে একটা তরঙ্গ দিয়ে থ্রি-জি ও ফোর-জি চলতে পারবে। এতে ব্যয়ও কমে আসবে। ভবিষ্যতে বিটিআরসির ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, একটা সময় ছিল বিটিআরসি থেকে অনেক বিষয় সরকারকে জানানো হতো না, এখন সে পরিস্থিতি নেই। রেগুলেশনের কাজটি বিটিআরসির হাতেই থাকা উচিত বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিটিআরসি না হলে টেলিযোগাযোগ খাতের এত বিকাশ হতো না।
তিনি আরো বলেন, বৈধ আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানের হার বেড়েছে। মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মানও বেড়েছে। অন্যদিকে কমেছে ফোনের ব্যয়। তিনি বলেন, দেশে কলড্রপের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। উন্নত বিশ্বেও ফোনে কলড্রপ হয়। বাংলাদেশের মতো জনংসংখ্যার দেশে ৬টি মোবাইল অপারেটর থাকার মতো অবস্থা নেই বলেও মন্তব্য করেন সুনীল কান্তি বোস। তিনি বলেন, একটি অপারেটর ভালো লাভ করছে, দুই একটি সামান্য লাভে আছে, আর বাকিগুলোর অবস্থা ভালো নয়। তাদের অন্য কোনো অপারেটরের সঙ্গে একীভূত হওয়া উচিত।
আগামী দিনগুলোতে টেলিযোগাযোগ খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ জনবল তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন বিদায়ী চেয়ারম্যান। গ্রাহকদের সুবিধা অনুযায়ী ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ মূল্য কমানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Source