-স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ষষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে আজ যোগ দিচ্ছেন প্রকৌশলী ড. শাহজাহান মাহমুদ (শাহ মাহমুদ)। প্রথম দিনই তিনি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর আগে বিটিআরসির চুক্তিভিত্তিক চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস টানা ৩ বছর দায়িত্ব পালন শেষ করে ২১শে অক্টোবর বিদায় নেন। গত ২৩শে সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে শাহজাহান মাহমুদকে নিয়োগের আদেশে বলা হয়, অন্য সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক ত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে ২০১৮ সালের ১১ই মে পর্যন্ত তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো। বিটিআরসি জানিয়েছে, প্রকৌশলী শাহজাহান মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং ওয়াশিংটন ডিসি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ছিলেন। পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এক সময়ের এই সরকারি কর্মকর্তা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা। শাহজাহান মাহমুদের জন্মস্থান রংপুরে। প্রসঙ্গত ২০০২ সালে বিটিআরসি গঠনের পর প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ। তার মেয়াদ শেষে আরেক সাবেক সচিব ওমর ফারুক বিটিআরসির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিটিআরসির চেয়ারম্যান হন মেজর জেনারেল (অব.) মঞ্জুরুল আলম। তার মেয়াদ শেষে এ দায়িত্বে নিযুক্ত হন মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ। ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়া জিয়া আহমেদ প্রথম দফায় তিন বছর মেয়াদ শেষে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরও এক বছরের জন্য নিয়োগ পান। তবে মেয়াদ শেষের আগেই ২০১২ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর জিয়া আহমেদের মৃত্যুতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হয়। তার মৃত্যু পরবর্তী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। ২০১২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর ৩ বছরের চুক্তিতে এ পদে নিয়োগ পান সুনীল কান্তি বোস। সর্বশেষ গত আগস্টে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০১ এর ৯ (১) ধারা অনুযায়ী সরকার অবসরোত্তর ছুটিতে থাকা সিনিয়র সচিব ইকবাল মাহমুদকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে ইকবাল মাহমুদের নাম পরিবর্তন করে বিটিআরসির চেয়ারম্যান হিসেবে ড. শাহজাহান মাহমুদের নাম প্রস্তাব করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
Source