News Title : ১৫ নভেম্বর থেকে অপারেটরদের কার্যক্রম চালুর নির্দেশ

News Date : 2015-11-03

-সুমন আফসার
গ্রাহকদের সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল ১ নভেম্বর। তবে সময় বাড়িয়ে ১৫ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেলফোন অপারেটরদের। এ পর্যায়ে শুধু নিজস্ব গ্রাহকসেবা কেন্দ্রগুলোয় সেবাটি চালু করা হচ্ছে। সেলফোন অপারেটরদের সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয় গত ২২ অক্টোবর। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শীর্ষ সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স সৈয়দ তালাত কামাল বণিক বার্তাকে জানান, ১৫ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে গ্রামীণফোন। সারা দেশে গ্রামীণফোনের নিজস্ব ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলিয়ে ৭৪টি জিপিসি থেকে এ সেবা দেয়া হবে। সেলফোন সংযোগ ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ২০১২ সালের এপ্রিলে সেলফোন সংযোগ কেনার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একই বছরের ১২ অক্টোবর থেকে প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম ও রিম বিক্রি বন্ধ করা হয়। তবে এর পরও ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে একাধিক সংযোগ ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে সিম নিবন্ধন তথ্যের সঙ্গে এনআইডি ডাটাবেজের তথ্য মিলিয়ে দেখে বৈধভাবে নিবন্ধিত সিম কার্ড যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি সিম নিবন্ধন কার্যক্রমকে আরো নির্ভরযোগ্য করে তুলতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালুরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১ নভেম্বর থেকে অপারেটরদের নিজস্ব গ্রাহকসেবা কেন্দ্রগুলোয় পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয়া হলেও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য ১৫ নভেম্বরের পর তা চালুর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশে বাধ্যতামূলকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। রবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড করপোরেট রেসপনসিবিলিটি) ইকরাম কবীর বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ নভেম্বর থেকে সারা দেশে রবির নিজস্ব গ্রাহকসেবা কেন্দ্রগুলোয় এ সেবা চালু করা হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম চলাকালে আগ্রহী কোনো রবি গ্রাহক তার সিমটি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ২০১২ সালের আগে কেনা সিমের বিপরীতে বিভিন্ন তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয় গত ১৫ অক্টোবর। এর অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের সেলফোনে এসএমএস পাঠানো শুরু করেছে অপারেটররা। এ কার্যক্রম চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দেয়া এক নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৮ বছরের কম বয়সী কারো কাছে সিম বিক্রি ও তাদের নামে নিবন্ধন করা যাবে না। এক্ষেত্রে অভিভাবকের নামে এ ধরনের সিম নিবন্ধন করতে হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষে চূড়ান্তভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে এটি শুরুর বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে সব অপারেটরই। আঙুলের ছাপ নিতে ব্যবহার করা হবে বিশেষ ডিভাইস। বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার বা স্ক্যানার নামে পরিচিত এ ডিভাইসের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে প্রত্যেক গ্রাহকের আঙুলের ছাপ। গ্রাহকের অন্য সব তথ্যের সঙ্গে সংরক্ষণ করা হবে এটি। এতে পরিচয় জালিয়াতির আশঙ্কা কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Source