-রাশেদ মেহেদী
বদলে যাচ্ছে টেলিটকের লোগো। নতুন লোগো নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির রি-ব্র্যান্ডিং হতে যাচ্ছে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। টেলিটকের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক অবকাঠামো এবং দক্ষ বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সমকালকে বলেন, বাজারে অন্যান্য অপারেটরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে তুলতেই রাষ্ট্রীয় কোম্পানিকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। লোগো পরিবর্তনই হবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের শুরু। তিনি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে টেলিটকের পক্ষ থেকে একাধিক লোগো প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্য থেকে তিনি একটি প্রাথমিকভাবে বাছাই করে দিয়েছেন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নতুন লোগোসহ নতুন চেহারায় টেলিটকের নবযাত্রা শুরু হবে বলে তিনি আশা করেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে টেলিটকের সঙ্গে
চুক্তিবদ্ধ একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দুটি লোগো উপস্থাপন
করা হয়। প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমসহ একাধিক কর্মকর্তা লোগো দুটি দেখেন। কর্মকর্তাদের মতামত নিয়ে এর মধ্য থেকে ত্রিভুজ আকৃতির একটি লোগো প্রাথমিকভাবে পছন্দ করেন প্রতিমন্ত্রী। সূত্র জানায়, এখন লোগোটি আন্তর্জাতিকভাবে বাছাই করা হবে। অন্য কোনো দেশের কোনো কোম্পানির লোগোর সঙ্গে মিলবে কি-না, কতটা আকর্ষণ সৃষ্টি করতে পারবে মানুষের মধ্যে, তা যাচাই-বাছাই করে সরকারের আরও উচ্চ পর্যায়ের সম্মতি নিয়ে লোগোটি চূড়ান্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র জানায়, টেলিটকের বর্তমান অবস্থারও পর্যালোচনা চলছে। টেলিটকের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা কী_ সেসব বিষয়ও চিহ্নিত করা হচ্ছে। বিশেষ করে টেলিটকের বোর্ডের বর্তমান ধরন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। টেলিটকের রি-ব্র্যান্ডিংয়ের আগে চিহ্নিত প্রতিবন্ধতা দূর করা এবং নেটওয়ার্ক সক্ষমতা বাড়ানো হবে। বর্তমানে টেলিটকের তিন হাজার ৮০০ বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন বা বিটিএস, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। সারাদেশে নেটওয়ার্ক সক্ষমতা বাড়াতে হলে এর প্রায় দ্বিগুণের বেশি বিটিএস প্রয়োজন। এজন্য বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার ব্যাপারেও আলাপ-আলোচনা চলছে। কোরিয়ার একটি কোম্পানির সঙ্গে আলাপ শুরু হয়েছে বলেও সূত্র জানায়। আগামী তিন মাসের মধ্যে টেলিটকের নতুন এক হাজার বিটিএস স্থাপন করা হবে বলেও সূত্র জানায়। এ ছাড়া টেলিটকের বিভিন্ন প্যাকেজ পরিবর্তন করে আরও আকর্ষণীয় করা হবে।
গ্রাহকসংখ্যার বিচারে বর্তমানে ছয়টি অপারেটরের মধ্যে টেলিটকের অবস্থান পঞ্চম। বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, টেলিটকের মোট গ্রাহক ৪১ লাখ ৮ হাজার। যেখানে টেলিটকের নিকটতম প্রতিযোগী এয়ারটেলের গ্রাহক সংখ্যা এক কোটিতে পেঁৗছেছে। ঢাকার ভেতরে থ্রিজি সেবার মান ভালো হলেও ঢাকার বাইরে অধিকংাশ স্থানে টুজি নেটওয়ার্ক পাওয়াও দুরূহ হয়ে পড়ছে।
Source