-স্টাফ রিপোর্টার
দুই মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছে সরকারের বকেয়া এক হাজার ৮৬৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের কাছে এক হাজার ৫৮৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকমের (সিটিসেল) কাছে রয়েছে ২২৯ কোটি টাকা। সিটিসেলের এই বকেয়ার মধ্যে টুজি লাইসেন্সের স্পেকট্রাম অ্যাসাইনমেন্ট ফি বা নবায়ন ফি বাবদ ২২৯ কোটি টাকা, লাইসেন্স ফি বাবদ পাঁচ কোটি টাকা, স্পেকট্রাম চার্জ বাবদ ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং বাবদ ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা ও এসওএফের চাঁদা বাবদ সাত কোটি ৪৫ লাখ টাকাসহ ২৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সংসদে সরকারি দলের সদস্য গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানান। তারানা হালিম বলেন, বকেয়া রাজস্ব আদায়ের জন্য সিটিসেলের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে বিটিআরসির লিগ্যাল ও লাইসেন্সিং (এল এল) বিভাগ থেকে ‘পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি (পিডিআর) অ্যাক্ট, ১৯১৩ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১-এর বিধান মোতাবেক মামলা দায়ের করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং অন্য অপারেটর টেলিটকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, ৪০ হাজার কোটি টাকা লোকসানের ভারে জর্জরিত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটককে ‘নিজের পায়ে’ দাঁড় করাতে ‘রি-ব্র্যান্ডিং’ হবে। ‘রি-ব্র্যান্ডিং’-এর অংশ হিসেবে দেশের প্রতিটি ডাকঘরে টেলিটক পাবে একটি করে কামরা। জাতীয় পার্টির সদস্য ফিরোজ রশীদ চৌধুরী টেলিটকের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়ছে। সিম রেজিস্ট্রেশনই শুধু মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। এসব প্রতিষ্ঠানের দেখভাল করাও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।’ জবাবে তারানা হালিম বলেন, ‘মন্ত্রণালয় শুধু সিম নিবন্ধনই করছে না। টেলিটককে নিজের পায়ে দাঁড় করাতেও কাজ করছে।’ টেলিটকের ৩৯ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা লোকসানের তথ্য সংসদকে জানাতে গিয়ে তারানার কণ্ঠেও হতাশা ঝরে। ‘সত্যিকার অর্থে হতাশ আমরাও। কেন এত দিনেও টেলিটক নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি? ...টেলিটক যে লাভ করবে, সেটা দেশেই থাকবে।’ ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করা টেলিটক সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েও জিএসএম অপারেটরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে।
Source