-অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক নামের একটি উৎসব আয়োজনে বেসিস ও জিপির চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠান দুটির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।ইন্টারনেটের প্রচার ও প্রসারে গ্রামীণফোন ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসেস (বেসিস) আগস্ট মাসে আয়োজন করতে যাচ্ছে‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫’ নামের ইন্টারনেট উৎসব। এই উৎসব আয়োজনে বেসিস ও জিপি সম্প্রতি একটি চুক্তি করেছে। বেসিস ও গ্রামীণফোন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, দেশের তিনটি বিভাগীয় শহরে বড় প্রদর্শনী ও ৪৮৭টি উপজেলায় একটি করে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে আয়োজিত হবে এই উৎসব। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রচার চালানো হবে।
ইন্টারনেট উৎসব ২৪ আগস্ট শুরু হয়ে চলবে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। উৎসবে অংশ নেবে ই-কমার্স, ওয়েবপোর্টাল, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও সারা দেশের স্থানীয় মোবাইল ভিত্তিক উদ্যোগগুলো। দর্শনার্থীরা এসব সেবা গ্রহণের প্রক্রিয়া সরাসরি দেখতে ও জানতে পারবেন।
এ ছাড়া দেশের তিনটি বিভাগে ইন্টারনেট মেলার বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার এবং দেশের গণমাধ্যমগুলোতে পলিসি বৈঠকের আয়োজন করা হবে।
এই উৎসবের মাধ্যমে ইন্টারনেট প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানো, প্রতি বছর এক কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ানো, সাধারণ জনগণকে অনলাইন সেবার আওতায় আনা, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটভিত্তিক উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সুবিধা দিতে চায় আয়োজকেরা।
বেসিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার সঙ্গে যুক্ত আগ্রহী প্রতিষ্ঠান বেসিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই উৎসবে সম্পৃক্ত হতে পারবেন।
আয়োজনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
বেসিসের নির্বাহী পরিচালক সামী আহমেদ ও গ্রামীণফোনের প্রধান ক্রয় কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ তৌহিদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সই করেন। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জিপি হাউজে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বেসিসের সিনিয়র সহসভাপতি রাসেল টি আহমেদ, সহসভাপতি এম রাশিদুল হাসান, যুগ্ম-মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, পরিচালক আশরাফ আবির ও আরিফুল হাসান অপু উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া গ্রামীণফোনের পক্ষে প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা দিলীপ পাল, প্রধান করপোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, পরিচালক (স্টেকহোল্ডার রিলেশন) ইশতিয়াক হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বেসিসের সিনিয়র সহসভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, সাত দিনে সারা দেশজুড়ে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে একদিকে যেমন সাধারণ জনগণকে ইন্টারনেটের প্রতি আগ্রহী করা হবে, অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান তাদের ইন্টারনেট ভিত্তিক পণ্য বা সেবাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
গ্রামীণফোনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা দিলীপ পাল বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রায় ইন্টারনেট এখন প্রয়োজনীয় উপকরণ। বেসিসের সঙ্গে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান এই অনুষ্ঠান জাঁকজমকভাবে হবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।
এ প্রসঙ্গে বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, বেসিসের ওয়ান বাংলাদেশ ভিশনের অন্যতম পিলার ছিল ২০১৮ সাল নাগাদ প্রতিবছর দেশব্যাপী ইন্টারনেট গ্রাহকসংখ্যা এক কোটি বাড়ানো। সেই ধারাবাহিকতায় এই আয়োজন। এতে দেশের ইন্টারনেটের সুফল সম্পর্কে জানানো হবে।
Source