-নিজস্ব প্রতিবেদক:
আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের শুরুতেই কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। গতকাল রোববার পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি শুরু হওয়ার পর যেসব গ্রাহক সিম নিবন্ধন করতে আসেন, তাঁদের অনেকের আঙুলের ছাপ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সংরক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্যভান্ডারের সঙ্গে মেলেনি।
সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি কার্যক্রম সরেজমিনে দেখতে গতকাল ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ঢাকার গুলশান ও বনানীতে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এ সময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরাও এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
গুলশানের উদয় টাওয়ারের রবি সেবাকেন্দ্র দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর এ সরেজমিন প্রদর্শন কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর তিনি একে একে গ্রামীণফোন সেন্টার, টেলিটক কাস্টমার কেয়ার, বাংলালিংক, এয়ারটেল ও সিটিসেলের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এসব সেবাকেন্দ্রে সিম নিবন্ধন করতে আসা গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
তারানা হালিম বলেন, ‘সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে মোবাইল অপারেটররা কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছে, তা নিজের চোখে দেখতেই এসেছি।’
টেলিটকের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে দেখা যায়, নিবন্ধন করতে আসা একজন গ্রাহকের আঙুলের ছাপের সঙ্গে ইসির তথ্যভান্ডারে থাকা আঙুলের ছাপ মিলছে না। এমন দৃশ্য অন্যান্য মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রেও দেখা গেছে।
আঙুলের ছাপ না মেলার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘পরীক্ষামূলক পদ্ধতি চালু করার উদ্দেশ্যই হলো যেসব সমস্যা আছে সেগুলো খুঁজে বের করা। এখন যেসব সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সেগুলো আমরা আরও বিচার-বিশ্লেষণ করব। এরপর মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সিম নিবন্ধনের নতুন এ নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে কোনো গ্রাহক সিম কিনতে গেলে তাঁকে আঙুলের ছাপ দিতে হবে। সিম কেনার সময় গ্রাহক যে আঙুলের ছাপ দেবেন, সেটি জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডারের সঙ্গে মিলে গেলেই কেবল সিমটি তিনি কিনতে পারবেন। এক মাস পরীক্ষামূলকভাবে চলার পর আগামী ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্ধতিটি চালু করা হবে।
Source