খবরের শিরোনামঃ বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম

খবরের তারিখঃ ২০১৫-১১-১৭

-সুমাইয়া রহমান সীমা
রোববার থেকে পরীক্ষামূলক বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হল। রোববার গুলশান এলাকার সব মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। পরিদর্শনে এসে তারানা হালিম বলেন, আগামী বছর এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন না করা হলে, সংশ্লিষ্ট নম্বর বন্ধ করে দেয়া হবে। একই সঙ্গে অপারেটরের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভার ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে মোবাইল অপারেটরদের। পুরনো নম্বরের যারা এখনও রেজিস্ট্রেশন করেননি, তাদের আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে নিবন্ধন পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর এ নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি সিম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সংস্থাটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। বিটিআরসি জানিয়েছে, পুরনো নম্বরের মধ্যে যাদের মোবাইলে এখনও নিবন্ধনের জন্য কোনো এসএমএস আসেনি, তাদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে বলেই ধরে নিতে হবে। তাদের ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রয়োজন নেই। সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু উপলক্ষে জারি করা এক নির্দেশনায় বিটিআরসি জানিয়েছে, সিম নিবন্ধন করতে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও অনুমোদিত কয়েকটি পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক। বিটিআরসির জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শুধু সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের নির্দিষ্ট কাস্টমার কেয়ারে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মসনদ, পাসপোর্টের মতো অনুমোদিত পরিচয়পত্র দিয়ে সিম নিবন্ধন করা যাবে। অনুমোদিত পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে সিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে হবে। আজ যিনি নতুন সিম কিনবেন, তাকে যেমন এ পদ্ধতি অনুসরণ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আবার যে গ্রাহক আগেই সিম কিনেছেন, সেটি যদি ঠিকভাবে নিবন্ধিত হয়ে না থাকে, তাহলে তার জন্যও এ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। আবার হারিয়ে যাওয়া সিমটি প্রতিস্থাপন করতে হলেও এ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। বর্তমানে আগে কেনা সিমের সঠিক নিবন্ধন দুভাবে করা হচ্ছে। ২০১২ সালের আগে কেনা সিমের নিবন্ধন করতে ১৫ অক্টোবর থেকে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে এসএমএস পাঠানো শুরু করেছে মোবাইল অপারেটররা। আর ২০১২ সালের পর কেনা সিমের জন্য গ্রাহকরা নিজেরাই নিবন্ধনের সঠিকতা অনলাইনে যাচাই করতে পারছেন। একটি সিম সঠিকভাবে নিবন্ধিত কি-না, এর জন্য মোবাইল ফোনের এসএমএসে ইংরেজিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ, পূর্ণ নাম লিখে ১৬০০ নম্বরে পাঠিয়ে দিতে হবে।

Source