-
সিম ক্লোনিং নিয়ে যত কথাহলিউড চলচ্চিত্রের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে ক্লোন হওয়া সিম কার্ডের কাহিনী। বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকের অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্রগুলোয় এর উপস্থিতি বড় পরিসরে লক্ষ করা যায়। চলচ্চিত্রে বিষয়টি মানুষের জ্ঞান বাড়ালেও বাস্তব জীবনে সিম ক্লোনিং বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে
সিম ক্লোনিং কী?
ক্লোন সিম বলতে গ্রাহকের একই সিমের আরেকটি অনুরূপ কপিকে বোঝায়। এর মাধ্যমে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর সিম নম্বর কপি করে তা গ্রাহকের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সুযোগ পায়। সিম ক্লোন করে হ্যাকাররা যা করছে
ভয়েজমেইলে প্রবেশ
ফোন কল করা বা গ্রহণ করা
প্রচুর পরিমাণে আন্তর্জাতিক কল করা
তবে সব ক্ষেত্রেই হ্যাকারের পরিচয় গোপন থাকে। প্রকাশ পায় মূল সিম মালিকের পরিচয়। তাই সিম ক্লোন হয়েছে টের পাওয়া মাত্র এর সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সিম ক্লোন এড়াতে এবং এর সমাধানে অপারেটররা বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে থাকে। এজন্য সংশ্লিষ্ট অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
২০০২ সাল পর্যন্ত সেলফোন ক্লোন করা কোনো কঠিন বিষয় ছিল না। রেডিও ফ্রিকুয়েন্সির মাধ্যমে হ্যাকাররা যখন তখন যে কোনো ব্যবহারকারীর নম্বর কপি করে তা ব্যবহার করতে পারত। কিন্তু টুজি থেকে থ্রিজি সিমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে সিম ক্লোন করার প্রক্রিয়া জটিল হয়েছে। কিন্তু অসম্ভব বলা যাবে না। জিএসএম সিমের ক্লোন করা কষ্টসাধ্য হলেও সিডিএমএ রিমগুলোর ক্লোনিং অনেকটাই সহজ।
সিম ক্লোন হয়েছে কিনা জানবেন যেভাবে
ঘন ঘন রং নাম্বার থেকে ফোন আসা
কল গ্রহণের পর হ্যাং হয়ে থাকা
কল করায় সমস্যা দেখা দেয়া
ইনকামিং কলগুলোর সিগনাল ব্যস্ত দেখানো
হঠাৎ করে ফোন বিল বেড়ে যাওয়া
ভয়েজ-মেইলে প্রবেশে সমস্যা হওয়া
এছাড়া কিছু কৌশলের মাধ্যমে সিম ক্লোন হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়। ফোন বিল খেয়াল করুন। দেখুন কোনো অপরিচিত নম্বর রয়েছে কিনা, যাতে ফোন দেয়ার কোনো সম্ভাবনাই আপনার নেই। যদি এমন কোনো নম্বর পান, তবে ভেবে নেবেন সিমটি ক্লোন হয়েছে।
Source