খবরের শিরোনামঃ রবি-এয়ারটেলের আবেদন যাচ্ছে মন্ত্রণালয়ে

খবরের তারিখঃ ২০১৫-১০-০১

-কাজী সোহাগ
বেসরকারি দুই মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও এয়ারটেলের ব্যবসা একীভূত হওয়ার আবেদন অনুমোদনে পাঠানো হচ্ছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর কমিশন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে তৈরি ফাইল পাঠানো হবে বলে মানবজমিনকে জানান বিটিআরসির সচিব ও মুখপাত্র মো. সরওয়ার আলম। তিনি বলেন, কমিশন বৈঠকের মূল এজেন্ডা ছিল দুই অপারেটরের একীভূত হওয়ার আবেদন। এটা একটি বড় বিষয়। তিনি বলেন, তাদের যৌথ আবেদন নিয়ে কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি। বিভিন্ন বিষয় যাচাই করে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে মন্ত্রণালয়ে। বিশেষ করে সমস্ত সম্পদ আইনিভাবে যেন একীভূত হয় সে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দুই প্রতিষ্ঠানের কেউ যেন চাকরিচ্যুত না হয় সেটাও দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, বেশ কিছু শর্ত পূরণসাপেক্ষে দুই প্রতিষ্ঠানের আবেদন বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হবে। ব্যবসা একীভূত করার অনুমতি চেয়ে সমপ্রতি বিটিআরসিতে চিঠি দেয় দুই মোবাইল অপারেটর। এর আগে গত ৯ই সেপ্টেম্বর ব্যবসা এক করার জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে তারা। কমিশন সভায় উপস্থিত বিটিআরসির এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, দুই মোবাইল অপারেটরের প্রস্তাব আলোচনার পাশাপাশি আইনগত দিকগুলোও যাচাই করা হয়। ব্যবসা একীভূত করার পর দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যেন কোন সমস্যা না হয়, তাদের চাকরির নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছে বিটিআরসি। এছাড়া টেলিকম সেবার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে কি না- এ বিষয়গুলো যাচাই করা হয়েছে। কমিশন সভার আলোচনা অনুযায়ী, মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অনুমতি দেয়ার পর দুই অপারেটরকে উচ্চ আদালতের কোম্পানি ম্যাটার বেঞ্চে যেতে হবে। সেখানে কারও কোন আপত্তি না থাকলে অনুমতি পাওয়ার পরই বিটিআরসি এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে পারবে। তবে ব্যবসা একীভূত করার চূড়ান্ত অনুমতি পেতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বলে জানান বিটিআরসি’র কর্মকর্তারা। বাংলাদেশে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের মধ্যে দুই কোটি ৭৯ লাখ রবির, ৯০ লাখ এয়ারটেলের। রবির মালিকানা মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপের। আর এয়ারটেলের মালিক ভারতের ভারতি এয়ারটেল। ভারতি এয়ারটেল এর আগে বাংলাদেশে ওয়ারিদের ব্যবসা কিনে নিয়েছিল। একীভূত হলে অন্য কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতার বিষয়টি বিটিআরসির কমিশন সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। বিটিআরসিতে দেয়া দুই কোম্পানির চিঠিতে উল্ল্যেখ করা হয়, ‘ব্যবসা একীভূত হওয়ার পর ৭৫ শতাংশ শেয়ার থাকবে মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ ও এনটিটি ডকোমার কাছে। আর বাকি ২৫ শতাংশ শেয়ার থাকবে ভারতি এয়ারটেলের হাতে। দুই অপারেটর একীভূত হওয়ার পর যৌথ গ্রাহকদের সেবার ক্ষেত্রে কোন ধরনের অসুবিধা হবে না বলে চিঠিতে জানানো হয়। একীভূত হওয়ার পর এয়ারটেলের গ্রাহকদের নম্বর (০১৬ দিয়ে শুরু) অপরিবর্তিত থাকবে। তিন বছর পর ০১৬ দিয়ে নতুন সংযোগ দেয়া হবে না।

Source