খবরের শিরোনামঃ ফেসবুক বন্ধে প্রতিক্রিয়া

খবরের তারিখঃ ২০১৫-১১-২১

-
এফ-কমার্স ও ডাটাভিত্তিক সেবায় ক্ষতি দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে থ্রিজি প্রযুক্তি। তবে বিভিন্ন যোগাযোগ অ্যাপস বন্ধের ফলে বিঘিœত হতে পারে ইন্টারনেটনির্ভর ডাটাভিত্তিক সেবার প্রবৃদ্ধি। দেশে ইন্টারনেট সেবার গ্রাহকের উল্লেখযোগ্য অংশই ফেসবুক ব্যবহারকারী। বর্তমানে দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক কোটি ৭০ লাখের বেশি। এসব ব্যবহারকারীর অনেকেই এফ-কমার্স হিসেবে প্লাটফর্মটি কাজে লাগান। দেশের ই-কমার্স শিল্পের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই এফ-কমার্সের মাধ্যমে তাদের পণ্যের প্রসার ও বিকিকিনি করছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ থাকায় এফ-কমার্স শিল্পের সাথে জড়িত সবাই হতাশ! ইন্টারনেট ব্যবহারের এসব মাধ্যম বন্ধের ফলে দেশের ডাটাভিত্তিক সেবার প্রবৃদ্ধি হোঁচট খাবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। যদিও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউই। দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের বড় একটা অংশ এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। এসব সেবা বন্ধ থাকলে অপারেটরদের ডাটাভিত্তিক সেবার প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ভয়েস কল ও মেসেজিংয়ের জন্য ভাইবার, ট্যাঙ্গো, লাইন ও হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা রয়েছে। এগুলো মূলত ইন্টারনেটে যুক্ত স্মার্টফোন থেকে কথা বলা ও এসএমএস করার অ্যাপ্লিকেশনস বা অ্যাপস। তিন অ্যাকাউন্টের তথ্য খুঁজছে সরকার চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে তিনটি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তিনবার অনুরোধের মাধ্যমে এই তিনজনের তথ্য জানতে চাওয়া হয়। সম্প্রতি ফেসবুক প্রকাশিত ‘গ্লোবাল গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’-এ বাংলাদেশ সম্পর্কে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। তবে সরকারের এ অনুরোধে ফেসবুক সাড়া দেয়নি বলে ফেসবুকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের শেষ ছয় মাসে পাঁচটি অনুরোধের মাধ্যমে পাঁচজনের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়েছিল সরকার। গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে ১৭টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। মোট সাতটি অনুরোধের মাধ্যমে এই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালের আগস্টে ১২ জনের তথ্য চাওয়া হয়েছিল। অবাক করার বিষয় হলো, ফেসবুকের প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছেÑ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের কোনো অনুরোধে সাড়া দেয়নি ফেসবুক। ফেসবুক প্রতি ছয় মাস অন্তর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী অনুরোধ জানায়, তা তুলে ধরা হয়। তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, তা উল্লেখ করা হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার আশ্বাস আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে ফেসবুক কর্তৃপরে সাথে চুক্তি করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযাগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ফেসবুকে নারীর প্রতি হয়রানির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা, বিশেষ করে ফেসবুকে আপত্তিকর কনটেন্ট পোস্ট নিয়ন্ত্রণে চুক্তির বিষয়ে সহায়তা করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। সাইবার নিরাপত্তায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ করবে বলেও প্রতিমন্ত্রীকে জানান বার্নিকাট।

Source