-বণিক বার্তা ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আইসিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। দিন দিন এর চাহিদাও বাড়ছে। তাই ইন্টারনেট ও অন্যান্য ডিজিটাল সেবার স্পিড বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কারণ ইন্টারনেট এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের প্রত্যন্ত দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতায় গ্রামীণফোনের থ্রিজি নেটওয়ার্ক উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। খবর: বাসস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হয়েছে। এজন্য তারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে চায়। সরকারও জনগণের এ প্রত্যাশা পূরণ করতে চায়।
সরকার ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ স্থাপনে এরই মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ব্যান্ডউইডথের স্পিড বৃদ্ধি এবং আইসিটির ব্যবহার বাড়াতে অন্যান্য প্রযুক্তিগত বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া মোবাইল ফোন বর্তমানে গ্রামের মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান ছাড়াও চিকিৎসা সেবা, টাকা পাঠানো ও কৃষি তথ্য সরবরাহে ব্যবহার হচ্ছে। রোগীরা যাতে অনলাইনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন, এজন্য সব উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে তার দল ক্ষমতায় আসার আগে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকা ছাড়া বাংলাদেশে আর কোথাও ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার গোটা দেশকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল টেলিফোন নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই এক্ষেত্রে বিএনপির একজন ব্যবসায়ীর একচেটিয়া বাণিজ্য ভেঙে মোবাইল ফোন বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। এ সিদ্ধান্ত এ খাতে বিপুল চাকরির সুযোগ সৃষ্টি এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে মানুষের মাঝে টেলিফোন সেবা পৌঁছে দেয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
গ্রামীণফোনের সেবা পৌঁছে দিতে দেশের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলকে বেছে নেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একসময় দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার মানুষ বিচ্ছিন্ন দ্বীপবাসীর মতো জীবনযাপন করতেন। কিন্তু এখন তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগের আওতায় এসেছেন।
এখন সেখানে থ্রিজি সুবিধা পাওয়া যাবে, যা এ এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিশ্চিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার এরই মধ্যে সারা দেশে ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল কেন্দ্র স্থাপন করেছে। সব ডাকঘরকেও পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল কেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে। এ লক্ষ্যে সাড়ে তিন হাজার ডাকঘরের ডিজিটালে রূপান্তরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন লালমনিরহাট প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব শেঠি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব এম ফাইজুর রহমান চৌধুরী এবং সরকারের ও গ্রামীণফোনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।
Source