-মিজানুর রহমান মিজু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক উন্নত দেশ যা পারছে না, তা বাংলাদেশিরা করে যাচ্ছে। এভাবেই অসাধ্য সাধন করছে বাংলাদেশিরা। ইন্টারনেট সেবার মান বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। তাদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হয়েছে। এজন্য তারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে চায়। সরকারও জনগণের এ প্রত্যাশা পূরণ করতে চায়।
গতকাল গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাবেক ছিটমহল প্রত্যন্ত দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতায় গ্রামীণফোনের থ্রিজি নেটওয়ার্ক উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে থ্রিজি নেটওয়ার্কের উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসাইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিকমিউনিকেশন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আরও উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট-১ আসনের সাংসদ মোতাহার হোসেন, সংরক্ষিত সাংসদ অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী প্রমুখ। টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন লালমনিরহাট প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব শেঠি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব এম ফাইজুর রহমান চৌধুরী এবং সরকারের ও গ্রামীণফোনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় লালমনিরহাট ছিল মঙ্গাপীড়িত অঞ্চল। আমরাই সর্বপ্রথম লালমনিরহাটে ভুট্টা চাষ করি। এখন শুধু ভুট্টাই নয়, লালমনিরহাটে ১৫ শতাংশ উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। এভাবেই এ অঞ্চল থেকে মঙ্গা শব্দটি বিদায় নিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, একসময় মোবাইল ফোন ব্যয়বহুলভাবে শুধু শহরে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে আমরা অল্প খরচে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে দিয়েছি মোবাইলের ব্যবহার। আজ আমরা থ্রিজিতে চলে গেছি। এ সময় দহগ্রামে থ্রিজি সংযোগ দেওয়ায় গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এখন আর টাকা খরচ করে ঢাকায় যেতে হচ্ছে না, ঘরে বসেই দেশের মানুষ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সব বিষয়ে তথ্য পাচ্ছে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রে। ডাকঘরগুলোতেও তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেকারদের দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আইসিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ক্রমান্বয়ে এর চাহিদাও বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেট ও অন্যান্য ডিজিটাল সেবার স্পিড বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ স্থাপনে ইতোমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ব্যান্ডউইথের স্পিড বৃদ্ধি এবং আইসিটির ব্যবহার বাড়াতে অন্যান্য প্রযুক্তিগত বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Source