খবরের শিরোনামঃ ভারতের জিডিপিতে মোবাইল খাতের অবদান দাঁড়াবে ৮.২%

খবরের তারিখঃ ২০১৫-১১-২৯

-বণিক বার্তা ডেস্ক
ভারতে মোবাইল সেবার চাহিদা বাড়ছে। বিপুল জনসংখ্যার কারণে দেশটিতে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর আনাগোনাও বেশি। ২০২০ সালের মধ্যে এখানকার জিডিপির ৮ দশমিক ২ শতাংশ আসবে মোবাইল সেবা খাত থেকে। বৈশ্বিক টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন জিএসএমএর হিসাব অনুযায়ী, এ সময়ের মধ্যে ভারতের জিডিপিতে খাতটির অবদান হবে ১৪ লাখ কোটি রুপি। খবর বিজনেস টুডে। ‘দ্য মোবাইল ইকোনমি: ইন্ডিয়া ২০১৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জিএসএমএ জানায়, গত বছর এ খাত দেশটির জিডিপিতে অবদান রেখেছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ বা ৭ লাখ ৭০ হাজার কোটি রুপি। জিএসএমএ এশিয়ার প্রধান আলাসদের গ্র্যান্ট বলেন, ‘ভারতের অর্থনীতিতে মোবাইল সেবা খাতের অবদান গত বছর যা ছিল, ২০২০ সালের মধ্যে এর প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা ওই সময়ে প্রাক্কলিত জিডিপির ৮ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে।’ খাতটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গত বছর ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৫০ লাখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের পাবলিক খাতে ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও মোবাইল সেবা খাত বড় অবদান রাখছে। মোবাইল সেবা খাতের ফান্ডিং গত বছর ছিল ১ লাখ ১০ হাজার কোটি রুপি। কর ও স্পেকট্রাম কেনা বাবদ এ অর্থ এসেছে।’ দেশটির টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, ভারতে ১০০ কোটিরও বেশি মোবাইল সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। এর মধ্যে গত বছর সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল ৪৫ কোটি ৩০ লাখ। এ বছর মোবাইল সেবার সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়াবে। ২০২০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৭৩ কোটি ৪০ লাখ অতিক্রম করবে। দেশটিতে মোবাইল সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বৃদ্ধির হার আশাব্যঞ্জক নয় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। ট্রাইয়ের হিসেবে গত বছর শেষে ভারতে প্রতি শতে ৭৪ জন মোবাইল সেবা গ্রহণের কথা। কিন্তু বাস্তবে মোবাইল সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রতি শতে ৩৬ জনে দাঁড়ায়। যেখানে বিশ্বব্যাপী মোবাইল সাবস্ক্রাইবার সংখ্যার গড় প্রতি শতে ৫০ জন। তবে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০২০ সালের মধ্যে যে পরিমাণ মোবাইল সাবস্ক্রাইবার বাড়বে, তার অর্ধেকেরও বেশি হবে ভারতে। গ্র্যান্ট জানান, তারা সক্রিয় ব্যবহারকারীদের নিয়েই সার্বিক হিসাব করছেন। যাদের একাধিক সিম রয়েছে, তাদের অব্যবহূত সিম বাদ দিয়েই মোট হিসাব করা হচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে মোবাইল সাবস্ক্রিপশনের হার ৫৪ শতাংশে পৌঁছবে। এদিকে সামনের বছরগুলোয় ভারতে থ্রিজি ও ফোরজির মতো নেটওয়ার্ক সেবার প্রসারে টেলিযোগাযোগ গ্রাহক বাড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের মোবাইল সংযোগের মাত্র ১১ শতাংশ থ্রিজি ও ফোরজি মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা ব্যবহার করছে। ২০২০ সালের মধ্যে এ হার ৪২ শতাংশে দাঁড়াবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে নতুন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বাড়বে প্রায় অর্ধশত কোটি। এতে দেশটিতে মোট স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৬৯ কোটিতে। যেখানে ২০১৪ সালে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর এ সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৯০ লাখ। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিশ্বের মোট মোবাইল সাবস্ক্রাইবারের ১৩ শতাংশের বসবাস ভারতে। আগামীতে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা। আর এ প্রবণতায় খাতটি থেকে দেশটির আয় বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

Source