খবরের শিরোনামঃ ১৬ ডিসেম্বর শুরু বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া

খবরের তারিখঃ ২০১৫-১০-০১

-
বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ নেওয়ার) পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের প্রক্রিয়া পরীক্ষামূলকভাবে ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। আর আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এ প্রক্রিয়া শুরু করবে মোবাইল অপারেটররা। দেশের সব অপারেটর গ্রাহকদের সিম পুনঃনিবন্ধন না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) কার্যালয়ে টেলিকম অপারেটরদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এসব তথ্য জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টি আই এম নুরুল কবীর। নুরুল কবীর বলেন, দেশের মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে অ্যামটব। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে সিম নিবন্ধন করার প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সংগঠনটি। নুরুল কবির আরও বলেন, সিম নিবন্ধনের জন্য জাতীয় ডেটাবেজের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে মিলিয়ে দেখার সুযোগ এতদিন ছিল না। ফলে অপারেটরগুলো গ্রাহকদের দেওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সত্যতা যাচাই করার সুযোগ পায়নি। এর আগে ২০০৮ সালে সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তথ্য যাচাইয়ের কোনো সুযোগ না থাকায় সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অপারেটরদের সিম রেজিস্ট্রেশন তথ্যের সঙ্গে এনআইডি ডেটাবেজের তথ্য মিলিয়ে দেখে বৈধভাবে নিবন্ধিত সিমকার্ড যাচাইয়ের জন্য অপারেটর এবং সরকার সমন্বিতভাবে কাজ করছে। নুরুল কবির জানান, অতীতে সিম নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি অন্যান্য পরিচয়পত্র দিয়েও নিবন্ধন করা যেত। জাতীয় পরিচয়পত্রবিহীন নিবন্ধিত সিমগুলো পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে। এ জন্য অপারেটররা গ্রাহকদের বার্তা পাঠাবে। তারা ঘরে বসেই জানতে পারবেন তার সিমটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে যথাযথ নিবন্ধন হয়েছে কিনা। নিবন্ধন না হলে কীভাবে নিবন্ধন করতে হবে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে এজন্য ধরা বাধা কোনো সময় নেই বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান নুরুল কবীর। তবে অপারেটরগুলো খুব দ্রুত সিম পুনঃনিবন্ধনের কাজটি সম্পন্ন করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশে যত্রযত্র সিম বিক্রি বন্ধের কোনো উদ্যোগ অপারেটরদের আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুল কবীর জানান, যত্রতত্র সিম বিক্রি বন্ধে অপারেটরগুলো উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রাহকদের অপারেটরদের নির্ধারিত আউটলেটের মাধ্যমে সিম কেনার জন্য তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

Source