-মানবজমিন ডেস্ক
বাংলাদেশে ফেসবুক ও হোয়্যাটস অ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের গুরুতর প্রভাব পড়ছে পার্শ্ববর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। রাজ্যের হাজারো মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সামাজিক জীবন এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে গালফ নিউজ।
সাইফুল রেহমান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। ঢাকায় আমার দোকান আছে। আমি কলকাতা থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনি ও প্রতি সপ্তাহে সেসব ঢাকায় পাঠাই। আমার দোকানে কি দরকার, তা জানতে আমি পুরোপুরি হোয়্যাটসঅ্যাপের ওপর নির্ভর করি। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার ফলে আমি আটকা পড়ে গেছি। আমার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অন্য অনেকে বলছেন, তাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়ছে। নিরুপা রায় নামে এক বাসিন্দা বলেন, আমার স্বামী ভারতের একটি কো¤পানিতে কাজ করেন। তাকে প্রায়ই বাংলাদেশে থাকতে হয়। মাঝেমাঝে কয়েক সপ্তাহের জন্য। কিন্তু এখন তার সঙ্গে যোগাযোগ করাটা বেশ ঝঞ্ঝাটময় হয়ে উঠেছে। আমরা অসহায় বোধ করছি।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলি আহসান মুজাহিদের মৃত্যুদ-াদেশ সর্বোচ্চ আদালত বহাল রাখার দুই সপ্তাহ পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বাংলাদেশে। দুই সপ্তাহেরও আগে কড়া নিরাপত্তায় তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। কিন্তু এখনও বহাল রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এ নিষেধাজ্ঞা কখন প্রত্যাহার করা হবে, তা জানাতে রাজি নয় বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ টেলিকম্যুনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, সরকার নিরাপদ মনে করলেই এ সেবাসমূহ পুনরায় চালু করা হবে। তিনি বলেন, ফাঁসির কার্যকরের সময় বিরোধী দলগুলো যাতে সমাবেশের আয়োজন করতে না পারে, ওই উদ্দেশ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়। সরকারবিরোধী আন্দোলনে বড় আকারে কর্মীদের জড়ো করার কার্যকর উপায়ে পরিণত হয়েছিল এসব মাধ্যম।
খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার এবারই প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করেছে, তা নয়। ২০১৩ সালে অস্থিরতার শঙ্কায় একই ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছিল সরকার।
Source