-
বেতনসহ কর্মীদের ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়ার নীতি গ্রহণ করেছে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান টেলিনর। তাদের বৈশ্বিক কর্মী সংখ্যার প্রায় ৩৬ শতাংশ নারী। এ বিশাল সংখ্যক নারী কর্মীদের কাজে উদ্বুদ্ধ করতে ও নারী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানানো হয়। খবর ইটি ব্যুরো।
১৩টির মতো বাজারে সেবা সরবরাহ করছে টেলিনর। ভারতের মতো বেশকিছু দেশের টেলিনর কর্মীরা বর্তমানে মাতৃত্বকালীন তিন মাসের ছুটি পান। এখন তা ছয় মাসে উন্নীত করা হলো। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ নীতি বাস্তবায়ন করবে নরওয়েভিত্তিক টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটি। টেলিনর এক বিবৃতিতে জানায়, কর্মী বাহিনীতে বৈচিত্র্য আনতে তারা আগ্রহী। আর এ কারণে নারী কর্মীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতে কর্মজীবনে আগ্রহী হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের নীতি বাস্তবায়ন হলে নারী কর্মীরা আরো এগিয়ে যাবেন বলেই মনে করছেন টেলিনর-সংশ্লিষ্টরা।
গত মঙ্গলবার দেয়া এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি আরো জানায়, ‘নতুন সিদ্ধান্তটি কর্মক্ষেত্রে ভারসাম্য আনতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এতে পুরুষদের সঙ্গে নারীরাও টেলিযোগাযোগ খাতে কর্মজীবন তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।’
এশিয়ার বেশকিছু দেশে সেবা সরবরাহ করছে টেলিনর। অধিকাংশ দেশের নারী কর্মীই স্থানীয় নিয়ম অনুযায়ী এখন মাতৃত্বকালীন ছয় মাসের কম ছুটি পাচ্ছেন। আর এ কারণে অনেক নারী কর্মী সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে চাকরি ছাড়ছেন। টেলিনরের জরিপ অনুযায়ী, মাতৃত্বকালীন পর্যাপ্ত ছুটি না পেয়ে যারা চাকরি ছাড়েন, তাদের অনেকেই আর ফেরত আসেন না। আর এ কারণে অভিজ্ঞ অনেক কর্মী হারাচ্ছে টেলিনর। এতে একদিকে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব যেমন তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে নতুন কর্মীদের অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলতে ব্যয়ও বাড়ছে।
উল্লেখ্য, টেলিনরের পাশাপাশি প্রযুক্তি খাতের অনেক প্রতিষ্ঠানই মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়াচ্ছে। মূলত নারী নেতৃত্ব গড়ে তুলতেই এ ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
Source