-বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি সংযোগে ত্রুটি
বাংলাদেশ থেকে ভারতে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি পরীক্ষামূলকভাবে চালুর জন্য গত শনিবার ক্যাবল সংযোগের টেস্ট সিগন্যাল হয়েছে। তবে তা সফল হয়নি। যে কারণে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন পিছিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি উদ্বোধনের আশা করা হচ্ছিল।
বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ডিজিএম (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মো. আবদুল ওয়াহাব গতকাল রবিবার এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘টেস্ট সিগন্যালে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে কী কারণে সেটা হয়েছে তা নিশ্চিত হয়ে শিগগিরই আবার কাজ করা হবে। আশা করা হচ্ছে, সমস্যা সমাধান করে খুব শিগগির এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা যাবে’।
জানা গেছে, নেটওয়ার্ক বা মডেম কানেকশনের মাধ্যমে পাঠানো ডাটার পরিমাণকে বলা হয় ব্যান্ডউইডথ। আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম সিমিউ-৪ এর আওতায় বাংলাদেশ ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডইউডথ পাচ্ছে। এর মধ্যে ৩০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) বাংলাদেশ ব্যবহার করলেও বাকিগুলো অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। সেখান থেকেই ভারতকে ১০ জিবিপিএস দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আর ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি করে বাংলাদেশ বছরে আয় করবে সাত কোটি রুপি।
এদিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক দেশের কথা’ পত্রিকা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) একটি দল শনিবার ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় যান। সেখানে তাঁদের উপস্থিতিতে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) উত্তর গেট কার্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্যাবল সংযোগ পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হয়। পরে বিটিসিএল ও বিএসএনএল কর্মকর্তাদের মধ্যে এক বৈঠকে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর আখাউড়া সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে দুই দেশের সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ভারতের সেভেন সিস্টার বলে খ্যাত ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মনিপুর ও অরুণাচল রাজ্যে এ ব্যান্ডউইডথ কাজে লাগানো হবে। ফলে সেখানকার ইন্টারনেট ব্যবস্থার উন্নতি হবে। বর্তমানে ওই সব রাজ্যে খুব কম গতিতে ইন্টারনেট কাজ করে।
বিএসসিসিএল সূত্র জানায়, ভারতকে আপাতত ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ দেওয়া হবে। তবে তারা চাইলে ৪০ জিবিপিএস দেওয়া সম্ভব। সে জন্য ভারতকে প্রস্তুতি নিতে হবে। কিছু অবকাঠামো ও টেকনিক্যাল বিষয় ছাড়া এখনই বাংলাদেশের পক্ষে ৪০ জিবিপিএস দেওয়া সম্ভব। আর এর মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে দুই দেশই লাভবান হবে।
Source