-এম. মিজানুর রহমান সোহেল
নিরাপত্তার ইস্যুতে বাংলাদেশে বন্ধ হওয়া ফেসবুক নিয়ে তারানা হালিমের চিঠির প্রেক্ষিতে ফেসবুক ভারত কার্যালয় থেকে আসছেন দু’জন কর্মকর্তা। তাদের একজন ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ম্যানেজার দীপালি লিবারেন এবং আরেকজন ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়ার আইন বিশেষজ্ঞ বিক্রম লাংয়ে। তারা দু’জন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকি এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। মন্ত্রণালয় এবং ফেসবুক সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ফেসবুকের উদীয়মান ব্যবসা ক্ষেত্র বাংলাদেশ। এ দেশে ফেসবুকের আঞ্চলিক অফিস খোলার ব্যাপারে গত বছর ১৭ মে ফেসবুকের সদর দফতরে এক বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। সেখানে ফেসবুকের হেড অব পলিসি প্রোগ্রাম লিসা ফস্টার ও ফেসবুকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে বাংলা ভাষায় ফেসবুক, বাংলাদেশে আঞ্চলিক অফিস স্থাপন ও স্থানীয়ভাবে গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে লোকাল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য জনপ্রিয় অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফেসবুকে শিক্ষা সহায়ক টুলস প্রচলনের আহ্বান জানান বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। ওই বৈঠকে পলক বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটিতে পৌঁছাবে। বাংলাদেশ যখন ফেসবুকের উদীয়মান বাজার তখন হঠাৎ করেই এ দেশে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রাথমিক অবস্থায় বলা হয়েছিল নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেই ফেসবুক খুলে দেয়া হবে। তবে গত রোববার হঠাৎ করেই ফেসবুক খোলার ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তারানা হালিম। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ফেসবুকের গ্রাহক তথ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা এবং ফেসবুকের অ্যাডমিন প্যানেল বসানো সাপেক্ষে ফেসবুক খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ফেসবুক কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করা এবং চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেসবুক খুলে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ভারত থেকে দু’জন কর্মকর্তা পাঠাচ্ছে।
Source