-নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশের চারজন সরকারি কর্মকর্তাকে সম্মাননা দিয়েছে কানাডীয় হাইকমিশন। আজ বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস’ উপলক্ষে এ সম্মাননা দেয় দেশটি।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন—বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ গউস, খুলনা জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল, জামালপুরের জেলা প্রশাসক সাহাবুদ্দিন খান ও সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফারুক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এ ছাড়া জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়ের লাঘামে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাল্যবিবাহ রোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তারানা হালিম বলেন, বাল্যবিবাহ নারীর মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির জন্য দায়ী। এটি নারীর ক্ষমতায়নেরও অন্যতম প্রতিবন্ধক। এ জন্য পরিবার ও সমাজে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, বাল্যবিবাহের বিরূপ প্রভাব শুধু পরিবারের ওপরই পড়ে না, এর প্রভাব সমাজ, রাষ্ট্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় পড়ে। তবে পরিবর্তন হচ্ছে। এ জন্য চেঞ্জ মেকার হিসেবে গণমাধ্যম, সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে হয়।
নারীদের জন্য সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো মেয়েকে বাজে কথা বলে উত্ত্যক্ত করা হয়। পরে তা সইতে না পেরে অনেক মেয়ে আত্মহত্যা করে। আপনারা জানেন, ফেসবুকের একটি দল বাংলাদেশে আসবে। নারীকে অবমাননাকর এসব বিষয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা তুলে ধরব, আলোচনা করব।’ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারি কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কানাডাকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়ের লাঘামে বলেন, বাংলাদেশ সরকার বাল্যবিবাহ রোধে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারি কর্মকর্তাদের অঙ্গীকার একান্ত অপরিহার্য। নিজেদের কমিউনিটিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের সাহস আর ত্যাগ ও অধ্যবসায় সবার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস বলেন, যেকোনো দেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে কিশোরীদের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। প্রতিটি কিশোরী প্রভাবক হিসেবে স্বীকৃত। সমাজের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সব বৈষম্য কিশোরীদের ওপর সুস্পষ্ট নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর এর অনিবার্য ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যে রয়েছে বাল্যবিবাহ ও মাতৃমৃত্যু।
Source