-বণিক বার্তা ডেস্ক
শিগগিরই টেলিযোগাযোগ বাজারে আসছে রিলায়েন্স জিও। এতে বাজারটিতে প্রতিযোগিতা বাড়বে। আর এর তীব্রতায় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেবার মূল্য কমাতে বাধ্য হবে। তবে এমন পরিস্থিতিতে বিচলিত নয় দেশটির শীর্ষ টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান ভারতী এয়ারটেল। প্রতিযোগিতা শামাল দিতে ভারতী এয়ারটেল প্রস্তুত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সুনীল ভারতী মিত্তাল। খবর ইকোনমিক টাইমস।
ইটিকে দেয়া সাক্ষাত্কারে ভারতী এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান মিত্তাল প্রতিযোগিতায় নিজেদের আশাবাদী অবস্থানের কথা স্পষ্ট করেছেন। রিলায়েন্স জিওর বাজারে আগমন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিযোগিতা বাড়াবে ঠিক, তবে নতুন প্রতিষ্ঠানটিকেও ব্যবসা করতে হবে সতর্কভাবে।
রিলায়েন্স জিও ফোরজিকে প্রাধান্য দিয়েই বাজারে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ফোরজি গ্রাহক আকৃষ্ট করতে রিলায়েন্স সক্ষম হতে পারে। শুধু ফোরজিতে মনোযোগী প্রতিষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট খাতে বিশেষায়িত সেবা আনবে। আর এতে গ্রাহকরা আকৃষ্ট হবেন, যা বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।
শুধু টেলিযোগাযোগ সেবাই নয়, মোবাইল ডিভাইসও আনছে রিলায়েন্সের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানটি। কম দামের মোবাইল ডিভাইস দিয়ে ভারতের বাজারে নতুনভাবে নিজেদের পরিচয় করাতে চাইছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি সূত্রে জানা গেছে, তারা শুধু টেলিযোগাযোগ বা মোবাইল ডিভাইসই নয়, পুরো ইকোসিস্টেমে মনোনিবেশ করবে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবা আনারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
সাক্ষাত্কারে মিত্তাল বলেন, ‘শুধু জিওকে নিয়ে উদ্বেগী হওয়া কি উচিত? ভোডাফোন, আইডিয়া ও জিও সবাইকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে।’ সবাইকে প্রতিদ্বন্দ্বী উল্লেখ করে আগের মতোই কৌশল অবলম্বনের কথা জানান তিনি। মিত্তাল আরো বলেন, ‘আমরা সবধরনের প্রতিযোগিতার সামনে দাঁড়াতে প্রস্তুত। আমাদের বিভিন্ন ধরনের পর্যাপ্ত তরঙ্গ রয়েছে। নেটওয়ার্ক অবকাঠামোও এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। শুধু এ বছরই আমাদের মূলধনি ব্যয়ের পরিমাণ ১৬ হাজার কোটি রুপি, যা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।’
বাজারে সেবার দামে রিলায়েন্স জিও তেমন কোনো প্রভাব রাখবে না বলেই মনে করছেন মিত্তাল। তারমতে, প্রতিষ্ঠানটি টেলিযোগাযোগ বাজারে দখল বাড়ানোর চেষ্টা করবে। এতে সেবার দামে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। মূলত তারা বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেয়ার চেষ্টা করছে বলেই মনে করছেন মিত্তাল।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস ধরেই ভারতের টেলিযোগাযোগ বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। একাধিক প্রতিষ্ঠানের একসঙ্গে সেবা সরবরাহসহ বেশকিছু নতুন পরিকল্পনা করছে। মূলত বড় ধরনের ঋণের বোঝা থেকে উত্তরণে তারা ব্যয় কমিয়ে আনার পথে হাঁটছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন প্রতিষ্ঠানের আগমন খাতটিকে কতটা প্রভাবিত করবে, তাই এখন দেখার বিষয়।
Source