খবরের শিরোনামঃ অবৈধ ডিটিএইচের বিরুদ্ধে অভিযান

খবরের তারিখঃ ২০১৫-১০-০২

-নিজস্ব প্রতিবেদক
কেব্ল সংযোগ ছাড়াই স্যাটেলাইট টিভি দেখার উন্নত প্রযুক্তি ডাইরেক্ট টু হোম বা ডিটিএইচের অবৈধ ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে র্যা ব। গতকাল সকালে র্যা বের একটি দল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকা থেকে আমদানিনিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ডিটিএইচ ‘টাটা স্কাই’-এর সরঞ্জাম জব্দ করে। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। র্যা ব কর্মকর্তারা জানান, কিছু অসাধু ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে অবৈধভাবে ডিটিএইচের ব্যবসা করে আসছেন। এতে করে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল সরকার। সম্প্রতি র্যা ব জানতে পারে, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকায় বিপুল পরিমাণ আমদানিনিষিদ্ধ ভারতীয় ডিটিএইচ বিক্রির জন্য মজুত করা হয়েছে। র্যা বের দলটি স্টেডিয়াম সুপার মার্কেটে পৌঁছে দেখতে পায়, ট্রাক থেকে মালামাল খালাস করা হচ্ছে। এসব সরঞ্জাম আমদানির কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। র্যা ব সদস্যরা ট্রাকের মালামালসহ মুন্সিগঞ্জ এন্টারপ্রাইজের মুক্তি দাস, নাজমা ইলেকট্রনিকসের বেলাল হোসাইন ও কামাল হোসেনকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে এই তিনজন বলেন, ছাতা ও অপটিক্যাল রিসিভারের নাম দিয়ে এসব সরঞ্জাম আমদানি করা হয়। এ জন্য ভারতে তাঁদের নির্ধারিত এজেন্ট আছে। তারা এ পণ্যগুলো সংগ্রহ করে বেনাপোল সীমান্তে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে ঢাকায় এনে বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করা হয়। সাধারণ মানুষ ১০-১২ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব সংযোগ নেন। এসব ডিটিএইচ সংযোগের মাধ্যমে ভারতীয় সব চ্যানেল খুব স্পষ্ট দেখা যায়। একজন র্যা ব কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, কেব্ল সংযোগ ছাড়াই স্যাটেলাইট টিভি দেখার এই উন্নত প্রযুক্তিতে গ্রাহক সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে টিভি অনুষ্ঠান নিজের টিভিতে ডাউনলিংক করতে পারেন। এই প্রযুক্তিতে ছবি ও শব্দ আসে কেবল সংযোগের চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে। প্রতিটি চ্যানেলের ছবি ও শব্দের মান থাকে একই রকম। প্রতিবেশী দেশ ভারতের টাটা স্কাই, রিলায়েন্স, ডিশ টিভি, এয়ারটেলসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ডিটিএইচ ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে বিক্রিও হয়। অবৈধ হলেও রাজধানীর অনেক বাড়িতে এসব ডিটিএইচ সংযোগ রয়েছে। বাড়িগুলোর ছাদে অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করার ছোট আকারের ডিশ দেখা যায়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এত দিন কোনো ডিটিএইচ প্রতিষ্ঠান ছিল না। কয়েক বছর আগে দুটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর বেক্সিমকো কমিউনিকেশন লিমিটেড ও একই বছরের ২০ অক্টোবর বায়ার মিডিয়া লিমিটেডকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। এক বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠান দুটির ডিটিএইচ সেবা চালুর শর্ত দিয়েছিল তথ্য মন্ত্রণালয়। পরে তা বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ডিসেম্বরে একটি প্রতিষ্ঠান ডিটিএইচ সেবা চালু করবে বলে জানা গেছে।

Source