খবরের শিরোনামঃ জাপানে বাংলাদেশি কোম্পানির ব্যবসায় সম্প্রসারণে সেমিনার অনুষ্ঠিত

খবরের তারিখঃ ২০১৫-১২-২৮

-অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশি আইটি কোম্পানিগুলোর জন্যে জাপানের বৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি বাজার একটি সম্ভাবনাময় জায়গা। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ও ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে রাজধানীতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের বিসিসি সভাকক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিগত কয়েকবছর ধরে জাপানের বাজারে বাংলাদেশি কোম্পানির ব্যবসায় সম্প্রসারণ ও বাংলাদেশে জাপানী বিনিয়োগ আনতে কাজ করছে বেসিস। এই লক্ষ্যে এরই মধ্যে জাপান ও বাংলাদেশে বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সেমিনার আয়োজন ও জাপান আইটি উইকে অংশগ্রহণ করে বেসিস। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবারের এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুইটি জাপানী কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন আইটি প্রফেশনাল অংশ নেন। এছাড়া বেসিসের সদস্যভুক্ত প্রায় ৪০ টি কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বিসিসি নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বেসিসের নির্বাহী পরিচালক সামী আহমেদের পরিচালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বেসিসের সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, মহাসচিব উত্তম কুমার পাল। এছাড়া আলোচনা করেন বেসিসের সাবেক সভাপতি ও ডাটাসফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান, টোকিও ইউনিভার্সিটির অ্যাডজাংক্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ও আইডিই-জেট্রোর পিএইচডি রিসার্স ফেলো প্রফেসর আবু পারভেজ সঞ্চয়, কয়েড কো. লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট সাটোরু কয়েড, বিসিসির পরিচালক এনামুল কবির, কুশু ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও গ্রামীণ কমিউনিকেশনের প্রোজেক্ট কোঅর্ডিনেটর ড. আসির আহমেদ, ডিজেআইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরু ওকাজাকি, ঊষা ইন্টারন্যাশনাল কো. লিমিটেডের পরিচালক অঞ্জন দাস, অ্যাটম এপি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও একেএম আহমেদুল ইসলাম, এন-ওয়েভ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান আলী শাওন, এইচআরএস জাপানের হেড অব প্রডাক্ট অ্যান্ড আইটি ইয়াসমিন নিলুফা, বিজেআইটি লিমিটেডের পরিচালক ও সিওও মেহেদী মাসুদ, ডেসটিনি ইনকর্পোরেটেডের সিওও রেজওয়ানুর কবির রাজিন, নিউভিশন সল্যুউশন লিমিটেডর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেবিসিসিআই এর পরিচালক তারেক রাফি ভুঁইয়া এবং ইনফোক্রাট সল্যুউশন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী জাকারিয়া মানিক। অনুষ্ঠানে বক্তারা বাণিজ্যিক প্রসার ও বিনিয়োগের লক্ষ্যে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা বলেন, ‘জাপানী আইটি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের মতো একটি দ্রুতবর্ধমান ও সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগে প্রকৃত অর্থেই আগ্রহী। তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা সম্পর্কে এখনও জাপানের অধিকাংশ কোম্পানি বা বিনিয়োগকারীরা ভালোভাবে জানেন না। তাই জাপানে বাংলাদেশের কান্ট্রিব্যান্ডিং আরো জোরদার করতে হবে। অংশগ্রহণকারীদের মতে, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি উভয় দেশের আইটি ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

Source