-
ভোক্তাকে কম দামে ইন্টারনেট দিতে ন্যাশন ওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন্স ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) লাইসেন্স পাওয়াসহ সরকারকে বেশ কিছু প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি)। চলতি মাসেই সরকারের কাছে এ প্রস্তাব দিতে চায় তারা। ইতোমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সঙ্গে বৈঠকের জন্য সময় চেয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের নেতারা বলছেন, সেই বৈঠকে এসব প্রস্তাব তুলে ধরে বিস্তারিত আলোচনা করতে চান তারা। অন্যদিকে সম্প্রতি ভোক্তার কাছে কম দামের ইন্টারনেট দিতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার এবং কার কি কি করার আছে তা জানাতে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের কাছে প্রস্তাব চেয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে প্রতি মেগাবাইট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) ৬২৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সরকার নতুন করে ইন্টারনেটের দাম ব্যাপক হারে কমালেও তাতে আগ্রহ নেই আইআইজি কোম্পানিগুলোর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যান্ডউইডথের এ পাইকারি ক্রেতারা নতুন দরে না কেনায় গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমার বাস্তবতা অনেক দূরে। কেননা আইআইজিগুলো না কিনলে সেই ব্যান্ডউইডথ কিনতে পারবে না আইএসপিগুলো। আর আইএসপিরা না পেলে ভোক্তার পাওনা শূন্য। কিন্তু ১০ জিবিপিএসের বান্ডেল নেওয়ার শর্তে এই ব্যান্ডউইডথ বিটিসিএল আর লেভেল-৩ আইআইজি ছাড়া আর কোনো আইআইজি কেনেনি।
দীর্ঘদিন থেকে দেশের সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ সস্তায় ইন্টারনেটের দাবি জানিয়ে আসছেন। আর এ নিয়েই সরকারের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে ভোক্তাদের কাছে কম দামের ইন্টারনেট পৌঁছাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দেওয়া, এক্ষেত্রে দাম না কমালে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার মতো পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কম দামে মানসম্মত ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এমনকি মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকেও ইন্টারনেটের দাম কমাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ জন্য শিগগিরই ইন্টারনেট সেবা প্রদানের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সরকারি-বেসরকারি সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইএসপিগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম আমাদের সময়কে বলেন, প্রস্তাবে আইএসপি কোম্পানিগুলো থেকে ৫টি এনটিটিএন লাইসেন্স দেওয়া, কর কমানো, পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) আন্ডারগ্রাইন্ড নেটওয়ার্ক সঙ্গে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের ব্যবস্থা করা, লাইসেন্সবিহীন এবং অবৈধভাবে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় থাকছে। তিনি বলেন, সরকার আমাদের প্রস্তাবে সায় দিলে ভোক্তারা মানসম্মত ও সস্তায় ইন্টারনেট পাবেন। এনটিটিএন লাইসেন্স দেওয়া হলে আমরা আলাদা করে নেটওয়ার্ক চার্জ নেব না। এ প্রক্রিয়ায় একটি মধ্যস্বত্বভোগী কমে যাবে বলে তিনি জানান।
Source