-আশরাফুল ইসলাম
দেশের শেয়ারবাজারে আসার উদ্যোগ নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) ও টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এডিএন টেলিকম। এ জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে এরই মধ্যে আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে অনাপত্তিপত্রও দিয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসির সচিব ও মুখপাত্র সরওয়ার আলম গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এডিএন টেলিকমকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে।
দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবার জন্য অবকাঠামো তৈরির কাজ করে থাকে এডিএন টেলিকম। এ প্রতিষ্ঠানটিই দেশে বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম টোল ফ্রি ফোনসেবা চালু করে। এসব কাজ করার জন্য বিটিআরসির কাছ থেকে তিন ধরনের সনদ (লাইসেন্স) নিয়েছে এডিএন। সে হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। আর এ কারণেই প্রতিষ্ঠানটিকে শেয়ারবাজারে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিটিআরসির অনাপত্তিপত্র নিতে হয়েছে।
এডিএন টেলিকম প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১ কোটি ৭২ লাখ শেয়ার বাজারে ছেড়ে ৫১ কোটি ৬০ লাখ টাকা সংগ্রহ করতে চায়। এ জন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুর সঙ্গে ২০ টাকা অধিমূল্য বা প্রিমিয়াম যোগ করে প্রতিটি শেয়ারের বিক্রয়মূল্য চাওয়া হয়েছে ৩০ টাকা। তবে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের জন্য আদৌ অধিমূল্য দেওয়া হবে কি না বা দিলেও তা কত হবে সেটি নির্ভর করছে বিএসইসির অনুমোদনের ওপর। শেষপর্যন্ত বিএসইসি যে দামে অনুমোদন দেবে সে দামেই আইপিওতে শেয়ার বিক্রি করতে হবে এডিএনকে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের আইপিও প্রস্তাবে বলেছে, বাজার থেকে যে টাকা সংগ্রহ করা হবে তা দিয়ে ইন্টারনেট সেবার অবকাঠামোসহ অন্যান্য কাজ করা হবে।
এডিএন টেলিকমের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন প্রায় ২১ কোটি টাকা, যা ২ কোটি ৯২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩০ শেয়ারে বিভক্ত। আইপিওতে নতুন করে আরও ১ কোটি ৭২ লাখ শেয়ার ছাড়ার পর এটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বেড়ে হবে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা।
বর্তমানে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ছয়টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এগুলো হচ্ছে অগ্নি সিস্টেমস, বিডিকম অনলাইন, আমরা টেকনোলজিস, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স, ইনটেক অনলাইন এবং আইএসএন লিমিটেড।
এডিএন টেলিকমের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের আর্থিক বছর শেষে এটি ছয় কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে।
Source