-বণিক বার্তা ডেস্ক
২০১৬ সালে বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতে ব্যয় ৩ লাখ ৬০ হাজার (৩.৬ ট্রিলিয়ন) কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। চলতি বছরের তুলনায় আসছে বছর সংশ্লিষ্ট খাতে ব্যয় বাড়বে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। মার্কিন গবেষণা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গার্টনার তাদের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস জানিয়েছে। খবর ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিস।
বিশ্বজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন হচ্ছে খুব দ্রুত। আইটি শিল্প খাত এখন ডিজিটাল ব্যবসায় পরিণত হচ্ছে। আর সংশ্লিষ্ট খাতে এমন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা ধারাবাহিকভাবে সংযুক্ত বিশ্বের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু এ বছরের তুলনায় ২০১৬ সালে সংশ্লিষ্ট খাতটির যে পরিমাণ প্রবৃদ্ধি হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল, বাস্তবে ততটা হবে না বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। গার্টনারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছর ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) হার্ডওয়্যার খাতে প্রতি মিনিটে ব্যয় ২৫ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বর্তমানে তথ্যকেন্দ্র ও মোবাইল ডিভাইস প্রযুক্তি বাজারের একটি বড় অংশ দখল করে আছে। কিন্তু বাজারে একই প্রযুক্তির বিভিন্ন ডিভাইসই দেখা যাচ্ছে বেশি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নতুন পণ্য বাজারে আনলেও তাতে খুব বেশি ভিন্নতা থাকছে না। ফলে এ খাতে ব্যয়ের পরিমাণ খুব বেশি বাড়ছে না। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত সেবার বাজারেও খুব বেশি ভিন্নতা নেই।
গার্টনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতি ঘণ্টায় ১০ লাখ নতুন ডিভাইস ইন্টারনেটে যুক্ত হবে। আর এ বিপুল সংখ্যক ডিভাইস আন্তঃসংযোগ তৈরির মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রসারে ভূমিকা রাখবে। ফলে ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ যেমন বাড়বে। একই সঙ্গে এ বিপুল সংখ্যক ডিভাইসের কারণে ডাটা সংরক্ষণের হারও বাড়বে, যা সংশ্লিষ্ট খাতে সামান্য পরিমাণে ব্যয় বাড়াবে।
এ বিষয়ে গার্টনারের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বৈশ্বিক প্রধান পিটার সনডারগার্ড বলেন, একটা সময় স্বভাবগতভাবেই ডাটা সংরক্ষণের বদলে ছুড়ে ফেলবে মানুষ। কারণ ডাটার সঠিক ব্যবহার না জানলে প্রকৃতপক্ষে তা দিয়ে কিছুই করা সম্ভব নয়। তাই তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ডাটা বাবদ খুব বেশি ব্যয় বাড়বে বলে মনে হয় না।
Source