খবরের শিরোনামঃ নতুন আইফোন একঘেয়ে মনে করেন সেলফোনের জনক

খবরের তারিখঃ ২০১৫-১০-০৪

-বণিক বার্তা ডেস্ক
নতুন আইফোনে বিশেষ কিছু নেই। ডিভাইসটি একঘেয়ে। এমনটাই মনে করেন সেলফোনের জনক মার্টিন কুপার। প্রযুক্তি সংবাদ প্রকাশক গিকওয়্যারকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর বিজনেস ইনসাইডার। আইফোনের নতুন সংস্করণটিতে উন্নয়ন হয়নি— এমনটা মনে করেন না কুপার। তবে ডিভাইসটিতে যে সেবা রয়েছে এবং এর যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে একে অবশ্যম্ভাবী ভাবার কোনো কারণ নেই বলেই উল্লেখ করেন তিনি। সাক্ষাত্কারে কুপার বলেন, ‘প্রতিটি প্রজন্মেই বিশেষ কিছু আনতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। এখনকার ডিভাইসটি কিছুটা বড়। অধিক পিক্সেল, মেগাহার্টজ ডিভাইসের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। এ কারণে অনেকে ডিভাইসটি কিনছেনও। আমি মনে করি, সফটওয়্যার এ খাতের ভবিষ্যৎ। ডিভাইসকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলতে তাদের নতুন পথ বের করতে হবে।’ স্মার্টফোন শিল্প নিয়ে সাক্ষাত্কারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন কুপার। তার মতে, ফোনে যে সেবা দেয়া হচ্ছে, তা অপরিহার্য নয়; বরং কিছু সুবিধা দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি। আপনি এখন স্মার্টফোন ছাড়া একদিনও চিন্তা করতে পারেন না। তবে এখানে অপরিহার্য সেবা কমই রয়েছে। যে সেবাগুলো রয়েছে, তা গ্রাহকের জীবনে বাড়তি সুবিধা যোগ করছে। এ কারণে আপনি চাইলেই এ ধরনের ডিভাইস এড়িয়ে চলতে পারেন। অপরিহার্য মানে আপনি সে বস্তু বা সেবাটি ছাড়া মারা যাবেন। একটি ডিভাইস আপনাকে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা সম্পর্কে জানাবে— এটা হচ্ছে অপরিহার্য সেবা। আপনি স্মার্টফোন দিয়ে এ ধরনের সেবা আশা করতেই পারেন।’ কুপারের মতে, গ্যালাক্সি এসসিক্সের মতো কিছু স্মার্টফোন রয়েছে, যেগুলো গ্রাহকের হূত্স্পন্দন সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে। ইনস্ট্যান্ট হার্ট রেটের মতো ডিভাইসে হূত্স্পন্দন পরিমাপে সক্ষম বেশকিছু অ্যাপসও রয়েছে। এগুলো গ্রাহকের হূদযন্ত্র স্পন্দনের বিষয়টি হাতের আঙুলের মাধ্যমে টের পায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ডিভাইসের ক্যামেরার ফ্ল্যাশের মাধ্যমে প্রতিবার আঙুলের রঙের পরিবর্তন হিসাব করে হূত্স্পন্দন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে এ ধরনের অ্যাপগুলো। যেসব সেবা ছাড়া মানুষ চলতে পারবে না, স্মার্টফোনে সরবরাহের ক্ষেত্রে সেগুলোকে প্রাধান্য দেয়ার আহ্বান জানান মার্টিন কুপার। তার মতে, অদূর ভবিষ্যতে কম্পিউটিং খাতের অন্যতম অংশ হতে যাচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। কারণ সেলফোন উদ্ভাবনের পর এর উন্নয়ন যেভাবে হয়েছিল, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ক্ষেত্রে তা হচ্ছে দ্রুতগতিতে। মার্কিন প্রকৌশলী মার্টিন কুপারকে ওয়্যারলেস টেলিকমিউনিকেশন শিল্পের পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মটোরোলায় কর্মরত অবস্থায় ১৯৭৩ সালে হাতে বহনযোগ্য সেলফোন উদ্ভাবন করেন তিনি। উদ্ভাবনের পর নিজ দল নিয়ে কাজ করেই ১৯৮৩ সালে ডিভাইসটির অধিক উন্নয়নের পর তা বাজারে আনেন। বেশকিছু সফল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতাও সেলফোনের জনক মার্টিন কুপার। তার মতে, সেলফোন প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে। তবে গ্রাহকরা এখন ডিভাইসগুলোয় যে সেবা পাচ্ছেন, তার অধিকাংশই ঐচ্ছিক। এগুলো ছাড়াও মানুষ চলতে পারে। তাই কেউ যদি এ ধরনের ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করে দেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এ প্রবণতার কারণে মোবাইল ডিভাইস খাত হুমকিতে পড়তে পারে। তাই তিনি অ্যাপলের মতো শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে ডিভাইসে অপরিহার্য সেবা যোগ করার আহ্বান জানান।

Source